
আপনার বাচ্চার কান্না বন্ধ করার ৫ টি উপায়।
বাচ্চারা সারাদিনই কান্না করতে থাকে। আমরা জানি পৃথিবীতে আসা মাত্রই তারা কান্না শুরু করে। কিন্তু সারাদিন কান্না শোনা আপনার জন্য বিরক্তিকর না। যারা নতুন বাব মা হয়েছেন বা বড় ভাই-বোন কিংবা যারা জানেন না কিভাবে বাচ্চাদের যত্ন নিতে হবে তাদের জন্য কিছু নিয়ম দেখানো হল কিভাবে স্ট্রেস ফ্রি হয়ে বাচ্চাদের যত্ন নিতে হবে।
কিছু করার পুরবে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কে বাচ্চারা কান্নাকাটি করে।
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাচ্চারা আসলে এখনো আলো বাতাস, শব্দর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না বলে কান্নাকাটি করছে। ক্ষুধা লাগাটাও অন্য আরো একটি কারন। এটির কারন এই অনুভবটি তার কাছে নতুন তাই সে কান্নাকাটি করে।
এখানে কিছু কারন দেখানো হল যে কারনে বাচ্চারা কান্না করে,
- কারন, তারা ক্ষুধার্ত
- ঘুম পায়
- শারীরিক অসুস্থতা
- ডায়াপার পরিবর্তন করা প্রয়োজন
- বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করা
- আদর, ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব
বাচ্চাদের কান্না থামানোর ৫ টি উপায়
১। কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা
নবজাতকের জন্য সবসময় কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর কারন তারা যখন মায়ের গর্ভে ছিল তখন মোটামুটি উষ্ণ এবং আরামদায়ক অবস্থায় ছিল। কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখা এক ধরনের শিল্পের মত, কারন তাদেরকে আরাম অনুভব করানোর জন্য এর থেকে ভালো উপায় আর হতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন শিশুর বয়স ১ মাস হলে শিশু জেগে থাকা অবস্থায় কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি রোধ হতে পারে কিন্তু যখন শিশু ঘুমিয়ে থাকে তখন তাকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে পারেন। শিশুর বয়স ২ মাস পার হলে এটি বন্ধ করুন কারন শিশু তখন এটি খুলে ফেলতে শিখে যাবে।
মনে রাখবেনঃ শিশুর পা যেন অধিক শক্ত করে না পেঁচিয়ে রাখা হয় কারন শিশু তখনো অনেক নরম এবং দুর্বল। যদি ভুলভাবে করা হয় তাহলে তার হাত পা নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
২।দোল দেয়া এবং গান গাওয়া
যখন শিশুরা মায়ের গর্ভে থাকেন তখন তারা সবসময় নাড়াচাড়ার মধ্যে থাকে। যখন বাচ্চা কান্না শুরু করবে তখন আপনার হাতের মধ্যে নিয়ে দোল দেয়া শুরু করুন দেখবেন আপনার বাচ্চা কান্না বন্ধ করবে। আপনি যত খারাপ সঙ্গীত পরিবেশন করুন না কেন আপনার গলার শব্দ আপনার বাচ্চার কান্না থামাতে সাহায্য করবে।
আপনি বাচ্চার কান্না শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন? জানি আপনি হবেন। একটি ঝুলন্ত দোলনায় শুইয়ে দিয়ে আপনি একটি সঙ্গীত পরিবেশন করুন দেখবেন কান্না থেমে যাবে এমনকি ঘুমিয়েও যাবে। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে একটি রেকর্ড প্লেয়ার এনে গান চালিয়ে দিন।
আপনার বাচ্চাকে গাড়িতে করে ঘুরিয়ে আনতে পারেন। এতে আপনার বাচ্চা অবশ্যই আরাম পাবেন কারন মায়ের কোলের মত এখানেও একধরনের দোল অনুভব করবে যা তাকে বেশ আরাম দিবে। কিন্তু মনে রাখবেন তাকে যেন সিট বেল্ট দিয়ে আটকে রাখা হয় যখন আপনি গাড়ি চালাবেন।
মনে রাখবেনঃ বাচ্চার যেন ঝাঁকি না লাগে। এতে বাচ্চার নান ধরনের ক্ষতি হতে পারে যেমন ব্রেইন ড্যামেজ কিংবা বেশি ঝাঁকুনিতে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৩। শান্ত ভাবে চুপ করান
অনেকেই বিশ্বাস করে শিশুর ঘুমানোর জন্য শান্ত পরিবেশ নেই। যখন তারা মায়ের গর্ভে থাকে তখন তখন তারা যে শব্দ অনুভব করে তা ভ্যাকিয়ুম ক্লিনারের থেকে বেশি। কিন্তু যখন তারা মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে আসে তখন তারা যে শব্দ শুনতে পায় তার তুলনায় মায়ের গর্ভের ভিতরে যে শব্দ তার তুলনায় শব্দ অনেক বেশি। বাচ্চা কান্না শুরু করলে তার কানের কাছে হালকা শব্দ করে কথা বলুন, দেখবেন কান্না থেমে যাবে।
৪। শিশুকে চুষনি দিন
শিশুর মুখে চুষার জন্য কিছু দিন যাতে তারা মায়ের মমতা অনুভব করে। যদি আপনার শিশু কান্না করে তাহলে তাকে বুকের দুধ খেতে দিন। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে তাকে এমন কিছু দিন যাতে যে বুকের দুধ খাওয়ার মত অনুভব করে।
৫। শিশুর মনোযোগ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন
শিশুর কান্না থামানর আরেকটি উপায় হল, শিশুর মনোযোগ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। আপনি তাকে নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার মনোযোগ পরিবর্তন করান। এতে তার কান্না থেমে যাবে।
এখনও কোন মন্তব্য নেই